Name: SUPARNA SINGHA
Email: suparna_singha1986@rediffmail.com
Mobile: 8900671626
সুগার-প্রেশার বেশি হলেই সাবধান । যেকোনো মুহুর্তে স্ট্রোক হতে পারে । কিন্তু আমরা বেশির ভাগই এর লক্ষণ গুলো চিনি না । স্ট্রোকের পর চার ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারলেই চিন্তা নেই রোগীর । বছরে কয়েকটা টেস্ট করিয়ে নিলে স্ট্রোক এড়ানো যাবে । জানালেন ডাঃ সাহা
বেশি হলে সাড়ে চার ঘণ্টা। স্ট্রোকের চিকিৎসা শুরু করার গোল্ডেন পিরিয়ড স্ট্রোক হওয়ার পর এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারলেই আর চিন্তা নেই কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। আমরা বেশির ভাগ মানুষই স্ট্রোকের উপসর্গকে চিনতে পারিনা । তাই সঠিক সময়ের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। অনেকেই আবার স্ট্রোক মানে ভাবেন হার্ট অ্যাটাক। স্ট্রোক কিন্তু হার্ট অ্যাটাক নয় । মস্তিষ্কে রক্ত সংবহনের পথে হঠাৎ কোনও বাধা এলে স্ট্রোক হয় । মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধলে বা রক্তশিরা ছিঁড়ে রক্তপাতই স্ট্রোকের কারন। উভয় ক্ষেত্রেই অস্কিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যু ঘটে। যার জেরে খতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কের কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হল তার উপর নির্ভর করছে শারীরিক ক্ষতি বা পক্ষাঘাতের সম্ভাবনা। যদি ক্ষতি গ্রস্ত অংশটি বাকশক্তি নিয়ন্ত্রনের কাজ করে তবে আক্রান্ত ব্যক্তির কথা জড়িয়ে যাবে বা কথা বলতে কষ্ট হবে । প্রথম অ্যাটাকের সময় বুঝতে না পারলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় অ্যাটাকের স ম্ভাবনা প্রবল ।
স্ট্রোকের পর আপনি কি করবেন ? —————————————- *এক গাঁট আদা থেঁতো করে দেড় কাপ জলে ফুটিয়ে এক কাপে এনে ছেঁকে নিন। প্রয়োজনে এক চামচ মধু মিশিয়ে ওই গরম জল দুবেলা পান করুন ।
• রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে পাশ ফিরিয়ে শুইয়ে রাখা উচিত। মাথার দিকে অল্প উঁচু করে রাখতে হবে । স্যালাইন দিলে ভাল হয় তবে সিটি স্ক্যান করা হয় , এমন হাস্পাতালেই তাড়াতাড়ি ভর্তি করাতে হবে ।
উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল , মাত্রাছাড়া ব্লাড সুগার, রক্তে উচ্চমাত্রায় হমসিস্টিন , অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান, নিয়মিত যোগ-ব্যায়াম না করার ওবেসিটি আক্রান্ত হলে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে ।